রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাযার্লয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মনোনয়ন বোডের্র সদস্যরা |
মনোনয়নপ্রত্যাশী এক নেতা বলেন, বোডর্ সদস্যরা বলছেন, ‘এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে। এখানে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। ভোটের মাঠ ছেড়ে দেয়া যাবে না
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার রোববার সকালে শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কাযার্লয়ে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়। রোববার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। পঞ্চগড়-১ আসনের প্রাথীের্দর সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে এই কাযর্ক্রম শুরু হয়। প্রথম সাক্ষাৎকার দেন ওই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ইউনুস আলী নামের এক নেতা।
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই বিএনপির মনোনয়ন বোডের্র সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জানিয়েছেন, কোন নেতার কী অবদান, বিগত ১২ বছর কে কী করছেন, সে খবর দলের কাছে আছে। এরপরই প্রাথীর্র কাছে প্রশ্ন করা হচ্ছে, এই ১২ বছর প্রাথীর্ সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের দ্বারা কী ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন? তৃণমূলের নেতাকমীের্দর পাশে কীভাবে ছিলেন? এবং নিজে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন?
এরপর সাক্ষাৎকারের জানতে চাওয়া হচ্ছে, এলাকায় প্রাথীর্র অবস্থান কতটা শক্তিশালী। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটের লড়াইয়ে থাকতে পারবে কিনা?
যেসব প্রাথীর্র কমর্কাÐ, নিজ নিজ আসনে অবস্থা ভালো এবং মনোনয়ন পাওয়ার সব যোগ্যতা আছে, তখন ওই প্রাথীর্র কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ভোটের মাঠে শেষ পযর্ন্ত টিকে থাকতে পারবেন তো?
বিএনপির মনোনয়ন বোডের্র সাক্ষাৎকার দিয়েছেন- এমন কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই নেতারা বলছেন, মূলত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কথাটি জানতে চান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই নেতা বলেন, এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে বিএনপি নিবার্চন করছে। এ কারণে এটি নিশ্চিত হওয়া দরকার, ওই প্রাথীর্ আগেই মাঠ ছেড়ে দেবেন, নাকি শেষ পযর্ন্ত বিরূপ পরিস্থিতে সরে দঁাড়াবেন, সেটা জানতে চাওয়া হচ্ছে। এবার প্রাথীের্দর যোগ্যতার ক্ষেত্রে এটিও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, মনোনয়ন বোডের্র সদস্যরা বলছেন, সম্প্রতি একসঙ্গে বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নিবার্চনের উদাহরণ টানা হয়েছে। তারেক রহমান ও বোডের্র সদস্যরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন, ভোটের মাঠে শেষ পযর্ন্ত তিনি টিকে থাকতে পারবেন কিনা। যুক্তি হিসেবে নেতারা বলছেন, তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চনের মধ্যে সিলেটে বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ আরিফুল হক ও রাজশাহীর মেয়রপ্রাথীর্ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটের মাঠে শেষ পযর্ন্ত ছিলেন। এর মধ্যে আরিফুল হক জয় পেয়েছেন। আর বুলবুল একাই লড়াই করছেন। নেতারা বলছেন, বুলবুলের সঙ্গে স্থানীয় নেতারা মাঠে নামলে সেখানেও বিএনপি বিজয় পেতে পারত।
বিএনপির নেতারা বরিশালে দলটির মেয়রপ্রাথীর্ মুজিবর রহমান সরোয়ারের সরে দঁাড়ানোর দিকেও ইঙ্গিত করেছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই নেতা বলেন, বোডর্ সদস্যরা বলছেন, ‘এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে। এখানে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। ভোটের মাঠে ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, যারা নিজ নিজ এলাকায় বিরূপ পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে ভোটের মাঠে থাকতে পারবেন, ভোটারদের সঙ্গে থাকতে পারবেন, তঁাদেরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ তিনি আরও বলে, প্রাথীের্দর নাভর্ কতটা শক্ত, প্রাথীর্র জন্য স্থানীয় নেতা-কমীর্রা কতটা ত্যাগ শিকার করতে পারবেন, সেটা দেখা হচ্ছে।
মনোয়ন বোডের্ ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বোডের্র আরেক সদস্য স্থায়ী কমিটির নেতা মিজার্ আব্বাস অনুপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া দুই দুনীির্ত মামলার সাজায় গত ফেব্রæয়ারি থেকে কারাবন্দি। তার অবতর্মানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান। দুনীির্তর দুই মামলায় ১৭ বছর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে গত এক দশক ধরে তিনি আছেন লন্ডনে।
বিএনপির দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে পঞ্চগড়, ঠাকুরগঁাও, দিনাজপুর, নিলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার ৩৩টি সংসদীয় আসনের জন্য আড়াইশ প্রাথীর্ দলীয় মনোনয়ন পেতে সাক্ষাৎকার দেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছাড়াও দলের সংশ্লিষ্ট জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন সাক্ষাৎকারে।
সকাল ৯টায় দলের পালাের্মন্টারি বোডের্ প্রথম ডাক পড়ে পঞ্চগড়-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। এ আসনের দলের মনোনয়ন চেয়েছেন তিন জন। এরা হলেন ইউনুস শেখ, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও তৌহিদুল ইসলাম।
২০০১ সালের নিবার্চনে এই আসনে প্রাথীর্ হয়ে সংসদ সদস্য নিবাির্চত হয়েছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, পরে তিনি ওই সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি এবার আছেন পালাের্মন্টারি বোডের্। আর তার ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ওই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সাক্ষাৎকার দেন।
রংপুর বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হয় রাজশাহী বিভাগে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার।
এই বিভাগে জয়পুরহাট, বগুড়া, চঁাপাইনবাগঞ্জ, নওগঁাও, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ৩৯টি সংসদীয় আসনের মনোনয়নের জন্য তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে বিএনপির দপ্তরে।
নিধাির্রত সূচি অনুযায়ী, আজ বরিশাল ও খুলনা বিভাগ; মঙ্গলবর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট; বুধবার ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার হবে।
এই সাক্ষাৎকারের কারণে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাযার্লয়ের সামনের সড়কের মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ফরম জমার রশিদ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তাদের কমীর্-সমথর্ক নিয়ে আসতে নিষেধ করা হলেও অনেকেই ১০/১২ জনকে সঙ্গী করে যান।
সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কাযার্লয়ে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়। রোববার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। পঞ্চগড়-১ আসনের প্রাথীের্দর সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে এই কাযর্ক্রম শুরু হয়। প্রথম সাক্ষাৎকার দেন ওই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ইউনুস আলী নামের এক নেতা।
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই বিএনপির মনোনয়ন বোডের্র সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জানিয়েছেন, কোন নেতার কী অবদান, বিগত ১২ বছর কে কী করছেন, সে খবর দলের কাছে আছে। এরপরই প্রাথীর্র কাছে প্রশ্ন করা হচ্ছে, এই ১২ বছর প্রাথীর্ সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি দলের দ্বারা কী ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন? তৃণমূলের নেতাকমীের্দর পাশে কীভাবে ছিলেন? এবং নিজে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন?
এরপর সাক্ষাৎকারের জানতে চাওয়া হচ্ছে, এলাকায় প্রাথীর্র অবস্থান কতটা শক্তিশালী। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ভোটের লড়াইয়ে থাকতে পারবে কিনা?
যেসব প্রাথীর্র কমর্কাÐ, নিজ নিজ আসনে অবস্থা ভালো এবং মনোনয়ন পাওয়ার সব যোগ্যতা আছে, তখন ওই প্রাথীর্র কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ভোটের মাঠে শেষ পযর্ন্ত টিকে থাকতে পারবেন তো?
বিএনপির মনোনয়ন বোডের্র সাক্ষাৎকার দিয়েছেন- এমন কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই নেতারা বলছেন, মূলত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কথাটি জানতে চান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই নেতা বলেন, এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে বিএনপি নিবার্চন করছে। এ কারণে এটি নিশ্চিত হওয়া দরকার, ওই প্রাথীর্ আগেই মাঠ ছেড়ে দেবেন, নাকি শেষ পযর্ন্ত বিরূপ পরিস্থিতে সরে দঁাড়াবেন, সেটা জানতে চাওয়া হচ্ছে। এবার প্রাথীের্দর যোগ্যতার ক্ষেত্রে এটিও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, মনোনয়ন বোডের্র সদস্যরা বলছেন, সম্প্রতি একসঙ্গে বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নিবার্চনের উদাহরণ টানা হয়েছে। তারেক রহমান ও বোডের্র সদস্যরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন, ভোটের মাঠে শেষ পযর্ন্ত তিনি টিকে থাকতে পারবেন কিনা। যুক্তি হিসেবে নেতারা বলছেন, তিন সিটি করপোরেশন নিবার্চনের মধ্যে সিলেটে বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ আরিফুল হক ও রাজশাহীর মেয়রপ্রাথীর্ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটের মাঠে শেষ পযর্ন্ত ছিলেন। এর মধ্যে আরিফুল হক জয় পেয়েছেন। আর বুলবুল একাই লড়াই করছেন। নেতারা বলছেন, বুলবুলের সঙ্গে স্থানীয় নেতারা মাঠে নামলে সেখানেও বিএনপি বিজয় পেতে পারত।
বিএনপির নেতারা বরিশালে দলটির মেয়রপ্রাথীর্ মুজিবর রহমান সরোয়ারের সরে দঁাড়ানোর দিকেও ইঙ্গিত করেছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই নেতা বলেন, বোডর্ সদস্যরা বলছেন, ‘এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে। এখানে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। ভোটের মাঠে ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, যারা নিজ নিজ এলাকায় বিরূপ পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে ভোটের মাঠে থাকতে পারবেন, ভোটারদের সঙ্গে থাকতে পারবেন, তঁাদেরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ তিনি আরও বলে, প্রাথীের্দর নাভর্ কতটা শক্ত, প্রাথীর্র জন্য স্থানীয় নেতা-কমীর্রা কতটা ত্যাগ শিকার করতে পারবেন, সেটা দেখা হচ্ছে।
মনোয়ন বোডের্ ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বোডের্র আরেক সদস্য স্থায়ী কমিটির নেতা মিজার্ আব্বাস অনুপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া দুই দুনীির্ত মামলার সাজায় গত ফেব্রæয়ারি থেকে কারাবন্দি। তার অবতর্মানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান। দুনীির্তর দুই মামলায় ১৭ বছর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন সাজার রায় মাথায় নিয়ে গত এক দশক ধরে তিনি আছেন লন্ডনে।
বিএনপির দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে পঞ্চগড়, ঠাকুরগঁাও, দিনাজপুর, নিলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার ৩৩টি সংসদীয় আসনের জন্য আড়াইশ প্রাথীর্ দলীয় মনোনয়ন পেতে সাক্ষাৎকার দেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছাড়াও দলের সংশ্লিষ্ট জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন সাক্ষাৎকারে।
সকাল ৯টায় দলের পালাের্মন্টারি বোডের্ প্রথম ডাক পড়ে পঞ্চগড়-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। এ আসনের দলের মনোনয়ন চেয়েছেন তিন জন। এরা হলেন ইউনুস শেখ, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও তৌহিদুল ইসলাম।
২০০১ সালের নিবার্চনে এই আসনে প্রাথীর্ হয়ে সংসদ সদস্য নিবাির্চত হয়েছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, পরে তিনি ওই সংসদে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি এবার আছেন পালাের্মন্টারি বোডের্। আর তার ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ওই আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে সাক্ষাৎকার দেন।
রংপুর বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হয় রাজশাহী বিভাগে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার।
এই বিভাগে জয়পুরহাট, বগুড়া, চঁাপাইনবাগঞ্জ, নওগঁাও, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার ৩৯টি সংসদীয় আসনের মনোনয়নের জন্য তিন শতাধিক আবেদন জমা পড়ে বিএনপির দপ্তরে।
নিধাির্রত সূচি অনুযায়ী, আজ বরিশাল ও খুলনা বিভাগ; মঙ্গলবর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট; বুধবার ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার হবে।
এই সাক্ষাৎকারের কারণে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাযার্লয়ের সামনের সড়কের মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ফরম জমার রশিদ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। তাদের কমীর্-সমথর্ক নিয়ে আসতে নিষেধ করা হলেও অনেকেই ১০/১২ জনকে সঙ্গী করে যান।
0 comments: