ইতালির ভেনিসে বসবাস করেন অনেক বাংলাদেশি। গত দুবছর তাঁরা অনেকেই হামলার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় তরুণ ইতালিয়ানরা সুযোগ পেলেই প্রবাসীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাদের লাঞ্ছনা থেকে নারী–শিশুরাও রক্ষা পায় না। অজ্ঞাত কারণে তাদের হামলা বা লাঞ্ছনার প্রধান টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন ভেনিসের উপশহর ম্যাস্ত্রে ও মারগেরায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। পথে ঘাটে একা কোনো বাংলাদেশিকে পেলেই তারা হামলা চালায়। শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকান-রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দীর্ঘদিন এ সব এক প্রকার মুখ বুজে সহ্য করেছেন বাংলাদেশিরা। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট ও মামলা করা হলেও পুলিশ এই বখাটেদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশের ভাষায় এরা বেবি গ্যাং। এদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে গত ২৬ এপ্রিল রোববার ভেনিসপ্রবাসী হাজার হাজার বাংলাদেশি রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন। তারা ম্যাস্ত্রে রেলস্টেশন সংলগ্ন স্থানে সমবেত হয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় গোটা শহরে প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত পর্যটক ও স্থানীয়রা হাততালি দিয়ে মিছিলকারীদের প্রতি সমর্থন জানান। মিছিলকারীরা সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি ও নিরাপত্তার স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হাতে প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে শহরের প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা ফেরেত্তোয় তাঁরা জমায়েত হয়ে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে কথিত ওই বেবি গ্যাংয়ের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা বেবি গ্যাং নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এই শহরে বাস ও কাজ করি। সরকারকে করও প্রদান করি। সুতরাং আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। দরকার হলে শিশু সন্ত্রাস বিরোধী আইন পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় পর্যটন নির্ভর এ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। পর্যটকেরা আসতে ভয় পাবে। অভিবাসীদের ছেলেমেয়েরা ভয়ভীতি মুক্ত স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে না। তাদের মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এটা একটা কল্যাণ সমাজের জন্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই বর্ণবাদী একটি গ্রুপ শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে।
প্রবাসীদের এ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্বে ছিল ভেনিসের বাংলাদেশি কমিউনিটি। এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে যোগ দেয় স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রায় ১০ জন রাজনৈতিক নেতা।
উল্লেখ্য, আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ভেনিসের সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশি ইতালিয় নাগরিকদের সমর্থন আদায়ের জন্য এই সমাবেশ ও মিছিলটি স্থানীয় রাজনীতিকদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। মূলধারার প্রচারমাধ্যমগুলোও গুরুত্ব দিয়ে এ খবর প্রচার করে।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে গত ২৬ এপ্রিল রোববার ভেনিসপ্রবাসী হাজার হাজার বাংলাদেশি রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন। তারা ম্যাস্ত্রে রেলস্টেশন সংলগ্ন স্থানে সমবেত হয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় গোটা শহরে প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত পর্যটক ও স্থানীয়রা হাততালি দিয়ে মিছিলকারীদের প্রতি সমর্থন জানান। মিছিলকারীরা সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি ও নিরাপত্তার স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হাতে প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে শহরের প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা ফেরেত্তোয় তাঁরা জমায়েত হয়ে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে কথিত ওই বেবি গ্যাংয়ের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা বেবি গ্যাং নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এই শহরে বাস ও কাজ করি। সরকারকে করও প্রদান করি। সুতরাং আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। দরকার হলে শিশু সন্ত্রাস বিরোধী আইন পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় পর্যটন নির্ভর এ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। পর্যটকেরা আসতে ভয় পাবে। অভিবাসীদের ছেলেমেয়েরা ভয়ভীতি মুক্ত স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে না। তাদের মনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এটা একটা কল্যাণ সমাজের জন্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই বর্ণবাদী একটি গ্রুপ শহরের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে।
প্রবাসীদের এ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্বে ছিল ভেনিসের বাংলাদেশি কমিউনিটি। এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে যোগ দেয় স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রায় ১০ জন রাজনৈতিক নেতা।
উল্লেখ্য, আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ভেনিসের সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশি ইতালিয় নাগরিকদের সমর্থন আদায়ের জন্য এই সমাবেশ ও মিছিলটি স্থানীয় রাজনীতিকদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। মূলধারার প্রচারমাধ্যমগুলোও গুরুত্ব দিয়ে এ খবর প্রচার করে।
0 comments: