Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts
Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts
অনিদ্রার সাথে অকালমৃত্যুর সম্পর্ক কতটুকু?

অনিদ্রার সাথে অকালমৃত্যুর সম্পর্ক কতটুকু?



যদি আপনি অনিদ্রা রোগে ভুগে থাকেন তাহলে সুসংবাদটা আপনার জন্যে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, ঘুম না হওয়ার সাথে মানুষের দ্রুত মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।
নতুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জার্নাল সায়েন্স স্পষ্টভাবে বলেছে, ইনসমনিয়া বা ঘুম না হওয়া জনিত রোগের সাথে দ্রুত মৃত্যুবরণের কোনো সম্পর্ক নেই।
ঘুমের আশায় ভোর ৪টা অব্দি যিনি বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেন, গড়াগড়ি খান - তার জন্যে জার্নাল সায়েন্সের এই তথ্য হয়তো কিছুটা প্রশমন বা স্বস্তি বয়ে আনলেও আনতে পারে।
কারণ, ঘুমহীনতার সাথে দ্রুত মৃত্যুর সম্পর্ক না থাকা বিষয়ক সিদ্ধান্তে পৌঁছুবার আগে গবেষকেরা কয়েক কোটি মানুষের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন।
মোট ১৭টি গবেষণায় প্রায় ৩৭ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এনএইচএস থেকে এর আগে যা বলা হতো - নতুন এই প্রতিবেদনের বক্তব্য তার পুরোপুরি বিপরীত।
এনএইচএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইনসমনিয়ার কারণে মানুষের ওবেসিটি বা স্থূলতা, হৃদরোগ ও টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি মানুষের আয়ু্ও কমে যায়।
কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ইনসমনিয়ায় ভুগছেন এমন মানুষেরা মূলত তাদের আয়ু নিয়ে চিন্তিত নন, বরং ঘুম না হওয়া ক্লান্ত দেহে কী করে দিনটা শেষ করবেন সেটি নিয়েই তারা বেশি চিন্তিত।
নিজের ইনসমনিয়া নিয়ে সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক নাভিদ খান বলছেন, তিনি রাতে চার ঘন্টার বেশি ঘুমাতে পারেন না। অবসাদগ্রস্ত দেহে দিনটা ভালোয় ভালোয় পার করতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েই তার যত ভাবনা।
আর এই ক্ষেত্রে তিনি একটি টেকনিক বা কৌশল অবলম্বন করেন। সেটি হচ্ছে, নিজের পুরো দিনটিকে তিনি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে নেন।
ধরা যাক, তিনি একটা ক্লাস নেন, কোন মতে একটা ঘন্টা পর করে দেন, তারপরই একটা বিরতে, তার পর আরেকটা, তারপর দুপুরের খাবার বিরতি। এভাবেই দিনের একেকটি অংশ পার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোন তিনি।
যুক্তরাজ্যে ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা প্রচুর। সাম্প্রতিক তথ্য মতে, দেশটিতে শতকরা ৩০ ভাগ লোক ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত।
ইনসমনিয়াকে পরাস্ত করা সহজ নয়। কিন্তু ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর বেশ কিছু উপায় আছে।
অনিদ্রা রোগের প্রভাব কাটাতে এনএইচএস কয়েকটি তরিকা অনুসরণ করতে পরামর্শ দিয়েছিল। যেমন নিজের দেহটিকে ক্লান্ত করে তোলার জন্য প্রতিদিন কিছুটা ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা, খাদ্য তালিকা থেকে চা-কফি জাতীয় পানীয় বা ক্যাফেইন কমিয়ে দেয়া।
পাশাপাশি বলা হয়েছে, ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ বা বেশি রাত পর্যন্ত অ্যালকোহল পান করলে ঘুম ব্যাহত হতে পারে।
আর ২৯ বছর বয়সী লেখক এলমারা এবগেরিয়েন বলেছেন, নির্ঘুম রাত কাটানোর পর তিনি ক্লান্তিতে হয়রান ও বিরক্ত থাকেন। এমনকি তার এই বিরক্তির বহি:প্রকাশ-ও ঘটে তার চারপাশের লোকজনের ওপর।
এলমারা হয়তো কোন কোন রাতে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমোতে পারেন, কিন্তু প্রায় রাতেই তার কিছুক্ষণ পরপর ঘুম ভেঙে যায়।
আর এর প্রভাব পড়ে তার জীবনযাপনের ওপর। তার অবসন্ন লাগে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে না।
ইনসমনিয়ার কারণে এলমিরার স্বাস্থ্যের উপরে দীর্ঘস্থায়ী কোনো খারাপ প্রভাব পড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আশা করি এই অবস্থাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না"।
২৩ বছর বয়সী মিউজিশিয়ান র‍্যায়ান এ্যাশলি বলেন, ঘুম না হওয়ার বাস্তবতার সাথে তিনি যেনো নিজেকে অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছেন।
এ্যাশলি বলছিলেন যে, নিশ্চয়ই রাতভর ঘুমানোর অভিজ্ঞতাটা একটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু তিনি এটির সাথে নিজেকে মেলাতে পারেন না কারণ কখনোই রাতভর একটানা ঘুমের অভিজ্ঞতা তার নেই।
হাঙ্গামাপূর্ণ একটি শৈশবের ভেতর দিয়ে যাওয়ার কারণে মি. এ্যাশলির ঘুমের সমস্যার সূত্রপাত। তারও এলমারার মতনই বার বার রাতে ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুমের সমস্যার কারণে এ্যাশলির আয়ু কমে যাচ্ছে কিনা এটি নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন।
তবে হ্যাঁ, জার্নাল সায়েন্সের নতুন এই প্রতিবেদন যদিও বলছে, ইনসমনিয়ার সাথে দ্রুত মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই - কিন্তু অন্যান্য অসুখ যেমন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা এবং ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সাথে ইনসমনিয়ার ঠিকই যোগসূত্র পাওয়া গেছে।
বিয়ে বাড়ির সবজির রেসিপি

বিয়ে বাড়ির সবজির রেসিপি


কথায় বলে শুরু ভালো যার, সব ভালো তার। আর বিয়ে বাড়ির সবজি এমনই একটা ব্যাপার। ধরুন, আপনার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন। মেহমানদের নিমন্ত্রণ করেছেন, শরবত পানের পর তাদের যখন খেতে দিলেন, সবজিটা মুখে দিয়েই চোখ বড় বড় হয়ে গেল। তাহলে কেমন হবে?  আসলে, শুরুর খাবার যদি টেস্টি হয়, তাহলে প্রথমেই অতিথিদের মুখ আনন্দে ভরে ওঠে। আর বাকিটা সময় এভাবে তা বহাল থাকে। তাই বিয়ে বাড়ির সবজির গুরুত্ব অনেক বেশি। আর এই সবজি রান্নার প্রক্রিয়া আপনি যদি নিজে শিখে নেন, তাহলে তো কথাই নেই। নিঃসন্দেহে ভালো হবে। চলুন জেনে নিই বিয়ে বাড়ির সবজি রান্নার রেসিপি।  
উপকরণ-
জালি বা চালকুমড়া, পেঁপে, ফুলকপি, গাজর, বাঁধাকপি,
ছোট মুরগীর বুকের মাংশ পরিমাণ মত।
এলাচ- ৩টি
দারুচিনি- ১টি
কাঠবাদাম বাটা- ১টেবিল চামচ
গুঁড়া দুধ- ৩টেবিল চামচ
মালাই বা দুধের সর-  আধা কাপ
সাদা গোল মরিচের গুঁড়া- আধা চা চামচ
ঘি- এক টেবিল চামচ
কন ফ্লাওয়ার- এক টেবিল চামচ
লবণ- পরিমাণ মত।
একটি জ্বলন্ত কড়াইতে কোয়াটার কাপ তেল গরম করে তিনটি এলাচ ও একটা দারুচিনি দিন। এক কাপ পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এর পর আধা টেবিল চামচ আদা ও রসুন বাটা দিন। এরপর মুরগীর মাংশ ঢালুন ও পরিমাণ মত লবন দিয়ে ভেজে নিন। এরপর কাচা সবজি ঢেলে দিন। চাইলে শালগম ও বরবটি যুক্ত করতে পারেন। সবজিগুলো ভালভাবে মিশিয়ে এতে পরিমাণ মত লবন ও কাঁচামরিচ দিন। এরপর ঢেকে দিন। চুলার আঁচ মাঝারিতে রেখে সবজি থেকে পানি বের হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৫মিনিট পর এতে দুই টেবিল চামচ কাঠবাদাম বাটা ও তিন চা চামচ গুড়া দুধ ভালোভাবে মিশান। এরপর আধা কাপ মালাই বা দুধের সর যুক্ত করুন। এতে সবজিতে ক্রিমি ভাব আসবে। এবার ঢাকনা ছাড়া আরও পাঁচ মিনিট রান্না করুন। সবজি পুরো সেদ্ধ হলে আধা চা চামচ সাদা গোল মরিচের গুড়া যুক্ত করুন। ভালো সুগন্ধির জন্য এক টেবিল চামচ ঘি ব্যবহার করুন। সবজি বেশি ঘন করতে আধা কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ কন ফ্লাওয়ার গুলিয়ে তা সবজিতে মিশান। কিছুক্ষণ পর তা নামিয়ে পরিবেশন করুন। 

কোমর ব্যথায় করণীয়

কোমর ব্যথায় করণীয়



মানুষের শারীরিক অনেক সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে কোমরের ব্যথা বা ব্যাক পেইন। অনেকেই এ সমস্যায় ভোগে থাকেন। প্রতি ১০ জনে আটজন কম বেশি কোমরের ব্যথায় ভোগেন। চেষ্টাও করেন তা থেকে উপশম হওয়ার। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে। জেনে নিন কোমর ব্যথার কিছু প্রতিকার সম্পর্কে।
কোমর ব্যথায় করণীয় :
১. সব সময় শক্ত সমান বিছানায় ঘুমাতে হবে। ফোমের বিছানায় ঘুমানো যাবে না।
২. ঝুঁকে বা মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না।
৩. সিঁড়ি ব্যবহারের সময় হাতল ধরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে উঠা ও নামা করতে হবে।
৪. মোটা ব্যক্তির শরীরের ওজন কমাতে হবে এবং সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৫. পিঁড়িতে বসে কোনো কাজ যেমন­ মাছ কাটা, শাকসবজি কাটা ইত্যাদি করবেন না।
৬. একই সঙ্গে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকবেন না।
৭. সোজা হয়ে বসে পানি তোলা, বসে গোসল করার সময় সোজা হয়ে বসা।
৮. ঘুম থেকে ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে উঠবেন।
৯. ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমাতে হবে। বেশি নড়া-চড়া করা যাবে না।
১০. নিয়মিত শারীরিক অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম করতে হবে।
১১. ব্যথাকে অবহেলা করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যান।
১৩. চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি চিকিৎসকরোগীকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, লাম্বার ট্রাকশন ও বিভিন্ন ব্যায়াম দিয়ে থাকেন।
১৪. কোথাও বেশি হেলান দিয়ে বসা বা শোয়া যাবে না। ইহা মারাত্মক ক্ষতি করে।
১৫. সময়মত ঘুমিয়ে পড়বেন। ডানকাত হয়ে ঘুমাবেন। বামকাত ও উপুড় হয়ে কখনোই ঘুমাবেন না।
১৬. ওজন কমাতে হবে আপনার উচ্চতা ও বয়স অনুসারে।
১৭. সাময়িক উপশমের জন্য গরম পানি বা কাপড় দিয়ে সেক দিন।
যৌন আকাঙ্খা কেমন, বলে দেয় শোয়ার ধরন

যৌন আকাঙ্খা কেমন, বলে দেয় শোয়ার ধরন



যৌনতা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি অস্বীকার করে ব্যতিক্রম পথে কেউ এগোতে পারে না। কিন্তু মিলিত না হয়েও ঘুমের ধরন দেখে বোঝা যায় কোন ব্যক্তির যৌন আকাঙ্খা কেমন। কারণ ঘুমের সময় মানুষ মুখোশের সম্পূর্ণ বাইরে থাকে।
নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। চলুন জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে-
পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শোয়া
শোয়ার এই ধরন যেমন মিষ্টি, তেমনই রোম্যান্টিক। এ থেকে বোঝা যায় একজন অন্যজনের কতটা যত্ন নেয়। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই পজিশনে তারাই শোয় যৌনতা যাদের প্যাশন। এছাড়া দু’জনের মধ্যে বিশ্বাস থাকলেও এই পজিশন নিজে থেকেই চলে আসে।
পিছন ফিরে শোয়া
সঙ্গীর দিকে পিছন ফিরে অনেকেই শোয়। অনেক সময় দু’জনের মধ্যে শারীরিক কোনো যোগাযোগ থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সম্পর্কের নিরাপত্তা বোঝায়। এ থেকে বোঝা যায় দু’জন দু’জনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো নিরাপত্তাহীনতা নেই।
শরীরী স্পর্শ রেখে পিছন ফিরে শোয়া
কেউ সঙ্গীর দিকে পিছন ফিরে শুয়ে আছে, অথচ দুই শরীরের মধ্যে স্পর্শ আছে। এমন ঘটনা সচরাচর নতুন দম্পতির ক্ষেত্রে দেখা যায়। যারা বহুদিন ধরে সম্পর্কে রয়েছে বা বিয়ের অনেকদিন হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে এসব দেখা যায় না।
বিছানা জুড়ে শোয়া
কারোর আবার ঘুমোনোর জন্য প্রচুর জায়গা দরকার হয়। এরা সম্পূর্ণ বিছানাজুড়ে শুয়ে থাকে। আর সঙ্গী থাকে একপাশে। এসব তখনই হয় যখন সম্পর্ক কোনো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়। একজন এক্ষেত্রে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে চায়। চরিত্রগত দিক থেকে তারা হয় স্বার্থপর। আর এর ফল ভোগ করে অন্যজন।
জড়িয়ে শোওয়া
দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকার একে অপরকে জড়িয়ে শোয়া এমন কিছু নতুন নয়। এই সময় একজনের পায়ের মাঝে থাকে আরেকজনের পা। বাহুবন্ধনও থাকে অন্যজনকে ঘিরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পজিশনের মানে দু’জন দু’জনের ওপর যথেষ্ট নির্ভরশীল। তারা একে অপরের সান্নিধ্য পায় খুব কম। তাই যেটুকু পায়, সম্পূর্ণটা নিয়ে নিতে চায়।
বুকে মাথা রেখে শোওয়া
সঙ্গীর বুকে মাথা রেখে শোয়ার মধ্যে রোমান্টিকতা আছে ভরপুর। কিন্তু এই ধরন এটাও বলে, দু’জন দু’জনের প্রতি যত্নশীল। এটি প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। সাধারণত নতুন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে পুরনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে এসব হয় না, তা একেবারেই নয়।
শীতের শুরুতে নিয়মিত আমলকি কেন খাবেন?

শীতের শুরুতে নিয়মিত আমলকি কেন খাবেন?



দিনের শুরুতে গরম অনুভুত হলেও সূয্যিমামা যেই অস্ত যায়, অমনি পারদ যাচ্ছে কমে। রাত যত বাড়ছে, তত কমছে তাপমাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে শরীর খারাপ যে হবেই, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। তবে শীতের শুরুতেই নিয়মিত আমলকি খাওয়া শুরু করলে শরীরে প্রচুর মাত্রায় প্রবেশ ঘটবে ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং সোডিয়াম। এতে ভিতর এবং বাইরে থেকে শরীরকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে ঠান্ডা লাগা তো দূর, ছোট-বড় বহু রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
তাই এই আবহাওয়া বদলের মৌসুমে আমলকি কীভাবে আমাদের চাঙ্গা রাখতে পারে সে সম্পর্কে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই। চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
১. গলার ব্যথা কমে
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত এক গ্লাস আমলা রসে পরিমাণ মতো আদা এবং মধু মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথা তো কমেই, সেইসঙ্গে কফ এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। তাই এমন ঠাণ্ডা-গরম পরিস্থিতিতে গলা ব্যথা শুরু হলে আমলার রসকে কাজে লাগাতে দেরি করবেন না।  
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আমলিকতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানও বের করে দেয়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
৩.দৃষ্টিশক্তির উন্নতি
সারাক্ষণ কম্পিউটার-মোবাইল ব্যবহার করার কারণে চোখের বারোটা বেজে যাক, এমনটা যদি না চান, তাহলে রোজকার ডায়েটে আমলকি থাকা অবশ্যই জরুরি। আসলে এই ফলে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চোখ থেকে পানি পরা, চুলকানি এবং চোখ ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৪.হজম ক্ষমতার উন্নতি
নিয়মিত যদি অনেক পরিমাণ আমলকি খেতে পারেন, তাহলে বদহজম নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না। কারণ এই ফলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। এটি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে
ভিটামিন সি হলো সেই ব্রহ্মাস্ত্র, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে এতটাই মজবুত করে দেয় যে কোনো জীবাণুই সেই দেওয়াল ভেদ করে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি ওয়েদার চেঞ্জের সময় সর্দি-কাশির ভয়ও দূর হয়।
৬. ডায়াবেটিস হটায়
আমলকিতে ক্রোমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না।
৭.ক্যান্সার প্রতিরোধ
ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য রোগ প্রতিরোধে বিশ্বস্ত সেনাপতি হয়ে উঠতে পারে আমলকি। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।
৮.শরীরের বয়স কমে
আমলকিতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টিজ শরীরের উপর বয়সের চাপ পড়তেই দেয় না। ফলে বয়সের কাঁটা পাঁচের ঘর পেরোলেও আমলকির আঁচে শরীরে ভেঙে যায় না। তাই শরীরকে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি চনমনে রাখতে চান, তাহলে একদিনও আমলকি খেতে ভুলবেন না।
৯.ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
আমলকিতে এমন কিছু খনিজ এবং উপাকারি ভিটামিন আছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ত্বকের ভেতরে পানির ঘাটতি দূর করে। সেই সঙ্গে পুষ্টির চাহিদাও মেটায়। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।