Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট, আহত ৪৫

মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট, আহত ৪৫


ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাহফিলের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে সাতজনের মুত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন যাত্রী।
অপরদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম বাবনাতলা নামক স্থানে একই দিন বেলা ১২ টার দিকে ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে অপর একজন মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন, হাবিব হাওলাদার (৫০), আব্বাস খান (৩২), হাসিয়া বেগম (৫৫), হাসান (১৪), আক্কাস (৪০), নয়ন (২৭), সায়েম (২৫)। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলা ও কালকিনি উপজেলার ভাঙ্গাব্রিজ, পান্তাপাড়া, খৈয়রভাঙ্গা এলাকায়। অপরদিকে রাজৈরের মোটর সাইকেলে দুর্ঘটনায় নিহতের নাম নাঈম বেপারী (২৫)।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া মাহফিলে অংশ নেয়ার জন্য মঙ্গলবার বাড়ি থেকে চন্দ্রপাড়া যান মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার সকালে মাহফিল শেষে চন্দ্রপাড়া থেকে মাদারীপুর কালকিনির ভাঙ্গাবীজ এলাকায় সুবিন-নবীন নামের একটি লোকালবাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সাইট দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি। 
এ সময় ঘটনাস্থলে চারজন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যান আরো তিন জন। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৪৫ জন যাত্রী। খবর পেয়ে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আহত ও নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভীড় করে এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।  মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা নিহত ও আহতদের আত্মীয়-স্বজনদের সান্তনা দিয়ে শোক প্রকাশ করেন।
হাসপাতালে আসা নিহতের এক স্বজন বলেন, শুনেছি আমার ভাই মারা গেছে। তাই হাসপাতালে এসেছি। আনন্দ করতে করতে আমার ভাই চন্দ্রপাড়ায় পীরের বাড়ি গেল। আর ফিরল লাশ হয়ে। এই শোক কীভাবে সহ্য করব।
হাসপাতালে আসা স্থানীয় সুমন হোসেন, স্বপন মাহমুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এক সাথে এতগুলো লাশ দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হলেও এর সংখ্যা বাড়তে পারে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অখিল সরকার বলেন, দুর্ঘটনায় এই পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ জনের মতো। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। আমরা আহতদের যথাসাধ্য চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। গুরুতর বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। 
অপরদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম বাবনাতলা নামক স্থানে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নাঈম বেপারী মারা যান। নাঈম মাদারীপুর শহরের বাগেরপাড় এলাকার ইব্রাহিম বেপারীর ছেলে এবং মাদারীপুর বিকাশের এসআর ছিলেন। 
সকালে বিকাশের কাজের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে মাদারীপুর থেকে টেকেরহাট যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন নাঈমকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
 পোড়া ভবন থেকে বের করা হচ্ছে একের পর এক লাশ

পোড়া ভবন থেকে বের করা হচ্ছে একের পর এক লাশ


বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। আর আহতের সংখ্যা ৭০ জন বলে জানা গেছে।

ফারুক রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারে লাগা ওই অগ্নিকাণ্ড সন্ধ্যার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পর ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে প্রবেশ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আর এতেই বের হতে থাকে একের পর লাশ।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে রাত আটটার দিকে নিহতের সংখ্যা ১৯ ও আহতের সংখ্যা ৭০ বলে জানিয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলীর বক্তব্য থেকে নিহতদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।
পুলিশ সূত্রে থেকে জানানো গেছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।
আল্লাহ তুমি সবাইকে রক্ষা করো

আল্লাহ তুমি সবাইকে রক্ষা করো


রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১৩টি ইউনিট। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২.৫০ মিনিটে এফআর টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এর ব্যাপকতা বাড়ে। ১১ তলা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। টাওয়ারের
ভেতরে অসংখ্য লোকজন বন্দি আছেন।

বিষয়টি কানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। সবাইকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারকা পেসার রুবেল হোসেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ঢাকা বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আটকা পড়েছে অনেক মানুষ। হে মহান আল্লাহ তুমি সবাইকে রক্ষা করো। আমিন।
প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফ, জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে আকুতি

প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফ, জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে আকুতি


বানানীর এফআর ভবনে লাগা আগুন থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজনকে লাফ দিতে দেখা গেছে। এ সময় অনেককে জানালা দিয়েও হাত বাড়িয়ে উদ্ধারের আকুতি জানাতে দেখা যায়। 
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে বনানীর ২২ তলা ভবনটি ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলছে। 
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুন লাগার খবর পেয়েই আগুন নেভানোর কর্মীরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। বেলা ২টা নাগাদ ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছিল।
এদিকে আগুন থেকে বাঁচতে কয়েক ব্যক্তিকে ভবনটির বিভিন্ন তলা থেকে বের হতে দেখা যায়। উপায় না দেখে পরে কয়েকজন লাফ দেন। নিচে পড়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করেন উপস্থিত লোকজন। পরে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ছাড়া কয়েকজনকে ভবনের আশপাশে থাকা তার ধরে নিচে নামার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে তাদের কেউ কেউ নিচে পড়ে যান। ভবনের ওপরে আকাশে হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটিতে রেস্তোরাঁ আছে। আছে অফিস। আগুন লাগার সময় ভবনের ভেতরে অনেক লোকজন ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের অষ্টম তলায় আগুন লেগেছে বলে তারা প্রথমে জানতে পারেন। পরে অন্য তলায়ও আগুন ছড়ায়। একপর্যায়ে পুরো ভবন আগুন ও আগুন থেকে সৃষ্ট কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ফলে ঠিক কোন কোন তলায় আগুন ছড়িয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ওই ভবনে কয়েকটি গার্মেন্ট বায়িং হাউজ এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের অফিস রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।