Showing posts with label দেশজুড়ে. Show all posts
Showing posts with label দেশজুড়ে. Show all posts
উত্তাল সিলেট পরীক্ষা স্থগিত ক্লাস বর্জনসহ ৩ দিনের কর্মসূচি

উত্তাল সিলেট পরীক্ষা স্থগিত ক্লাস বর্জনসহ ৩ দিনের কর্মসূচি


সিলেট ব্যুরো : গত শনিবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর নামক এলাকায় বাস চাপায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল উত্তাল ছিল সিলেট মহানগরী। খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে সিকৃবির শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মানববন্ধন করে। এরপর চালক ও হেলপারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে বিশাল মানববন্ধন পালন করে। গোটা নগরীতে যানজট দেখা দেয়। এক সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের গাড়ীও আটকা পড়ে মানববন্ধের সামনে। এ সময় সাবেক মন্ত্রী সিকৃবির শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন। সিকৃবির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা স্থগিত ও ক্লাস বর্জন সহ ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ৫ দফা দাবী উপস্থাপন করে। 
জানা যায়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসকে বাসচাপা দিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চৌহাট্টায় সড়ক অবরোধ করেন। রবিবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ওয়াসিমের সহপাঠীরা। দুপুর ১২টার দিকে তারা নগরীর চৌহাট্টায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। শিক্ষার্থীদের অবরোধে চৌহাট্টার চার দিকে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্ঘটনার মামলা নয়, দুর্ঘটনার মামলাকে হত্যা মামলায় নিতে হবে। তিনদিনের মধ্যে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এ তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ওয়াসিমের হত্যার প্রতিবাদে বাসচালক ও হেল্পারকে আইনের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর, ঘাতক ‘উদার পরিবহন’ বাসের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানান। এছাড়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা কোন ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা একই সময় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে চালক ও হেলপারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের পাঁচদফা 
এদিকে সিকৃবি শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসকে বাসচাপা দিয়ে ‘হত্যার’ প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার তারা সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পাঁচদফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন তারা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচদফা দাবির মধ্যে আছে- অভিযুক্ত চালক ও হেলপারের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা, উদার পরিবহরেন রোড পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেয়া, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি না চালানো এবং সড়কে শিক্ষার্থীসহ সকল যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে সিকৃবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসসহ ১১ শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ থেকে সিলেটগামী উদার পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-১২৮০) ওঠেছিলেন। তারা হবিগঞ্জের নবীনগরের দেবপাড়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ওই বাসযোগে তারা শেরপুর আসেন। অভিযোগ ওঠেছে, ভাড়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে শেরপুরে ওয়াসিমকে হেলপার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে চালক দ্রুত বাসটি চালিয়ে দেন ওয়াসিমের ওপর দিয়ে। এতে গুরুতর আহত তিনি। তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
টাঙ্গাইলে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২

টাঙ্গাইলে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২


টাঙ্গাইলের বাসাইলে নিয়ন্ত্রণহীন মোটর সাইকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুই যুবকের প্রাণ গেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর-জশিহাটী সড়কের তালতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বাসাইল থানার ওসি এসএম তুহীন আলী জানান।
নিহতরা হলেন- উপজেলার কামুটিয়া গ্রামের লাল খানের ছেলে শাওন খান (২৭) এবং একই এলাকার বিল্লালের ছেলে জামিল (২৫)।
ওসি তুহীন বলেন, শাওন ও জামিল মোটর সাইকেলে করে একঢালা এলাকায় উপজেলা নির্বাচনের ভাইস চেয়ারমান পদপ্রার্থী খান বাহাদুরের জনসভার যাচ্ছিলেন।
তালতলা এলাকায় তাদের মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাল গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় দুই আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে বলে জানান ওসি।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল



জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ঠ শাখায় আপিল আবেদন দাখিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের কোনো একটি বেঞ্চে শিগগিরই আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সমকালকে বলেন, ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলে সাজা বাতিল ও জামিনের আবেদন করা হয়েছে। আপিলে ২০টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয়।
গত ২৯ অক্টোবর সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট্র দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার অপর তিন আসামি তিন আসামি আবদুল হারিছ চৌধুরী (পলাতক), জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলামকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রায়ের পনের দিন পর ১৪ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র দুর্নীতি মামলার ৬৩৮ পৃষ্টার পুর্ণাঙ্গ রায়ের সত্যয়িত কপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আপিলে খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণের জন্য এবং তার জরিমানা স্থগিত ও দণ্ড বাতিল চাওয়া হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্রের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগষ্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারি পরিচালক হারন-অর রশীদ।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালত বিদেশ থেকে এতিমদের জন্য আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর সাজা দেন। ওই সাজার পর থেকে ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন।
 পরিবহন শ্রমিকদের ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা

পরিবহন শ্রমিকদের ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা


সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের দাবিতে রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় এ কর্মসূচি পালন হচ্ছে। পরিবহন শ্রমিকরা যেমন যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, তেমনি চলছে না পণ্যবাহী কোনো পরিবহনও। রাজধানীর সড়ক, আঞ্চলিক সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়কেও বিরাজ করছে যানবাহনশূন্যতা।
বগুড়া
শহরের চারমাথার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ঠনঠনিয়ার আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনাল থেকে দূর-পাল্লার কোনে বাস ছেড়ে যায়নি। কাউন্টারগুলো রয়েছে বন্ধ। অনেক যাত্রীকে টার্মিনাল এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। অনেকে আবার গাড়ি না পেয়ে বাড়ি ফিরে যায়। টার্মিনালসহ মহাসড়কের বেশ কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকদের অবস্থান রয়েছে।
এদিকে 'কর্মবিরতি'র কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। নূরজাহান, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বাড়ির কাছাকাছি এসে আটকা পড়েছি। এ মুহূর্তে গন্তব্যে পৌঁছাটাই আসল ব্যাপার। ভাড়া কিছু বেশি নিলেও আপতত সমস্যা নেই। কিন্তু যানবাহন তো পাওয়া যাচ্ছে না।    
কুমিল্লা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা সড়কে যান চলাচলে বাঁধা দিচ্ছে। মহাসড়কের ওপর বসে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। আট দফা দাবি মানা না হলে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সড়ক অচল করে রাখা হবে বলে জানা বিক্ষোভকারীরা।
পরিবহন ‘কর্মবিরতি’তে শহরের শাসনগাছা, চকবাজার ও টমসমব্রিজ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন। সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ
সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের প্রায় ৩০টি স্পটে অবস্থান নেয় পরিবহন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিমরাইল মোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পিএস সাজ্জাদুল হাসানের গাড়িও আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা।
প্রায় আধাঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্লা তাসলিম হোসেন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গাড়িটি পার করে দিতে সক্ষম হন।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় দুপুরের দিকে শ্রমিকরা সড়কে টায়ারের আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বরিশাল
হঠাৎ করে পরিবহন শ্রমিকদের 'কর্মবিরতি'র ডাক দেওয়ায় এবং সড়কে মাহিন্দ্রা থেকে অটো টেম্পো বন্ধ থাকার কারণে বরিশালে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনো পরিবহন সকাল ৬টা থেকে চলাচল করছে না। কোনো পরিবহন চালানোর চেষ্টা করলে শ্রমিদের বাধায় তা পথে আটকে যাচ্ছে।
অপরদিকে নগরীর রূপাতলীস্থ বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লা ও আভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লাগামী সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। খোলা হয়নি কোনো কাউন্টার। বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী, উত্তর তেমুহনী ও ঝুমুর সিনেমা হল এলাকায় যাত্রীদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটেও বাস-ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর জেলা (দক্ষিণ) বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ বলেন, ৮ দফা দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। অবিলম্বে দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
দিনাজপুর
কর্মবিরতির কারণে দিনাজপুরে সব ধরণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে যাত্রীদের ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতেও সুযোগ বুঝে অটোচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
ফেনী
‘কর্মবিরতি’র কারণে  ফেনীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ধর্মঘটের কারণে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে না যাওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ কর্মবিরতির পক্ষে রাস্তায় রয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এছাড়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ই' এবং 'এফ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে। অনেক পরীক্ষার্থী আটকা পড়ে আছেন ফেনী মহিপালে।
ঝিনাইদহ
'কর্মবিরতি'র কারণে ঝিনাইদহ থেকে দূরপাল্লা ও স্থানীয় সব রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ইঞ্জিনচালিত সব যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। পাশাপাশি ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানও চলাচল করতে দিচ্ছে না তারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ জেলা সাধারণ মানুষ।
লালমনিরহাট
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’তে  দেশের অন্যতম বুড়িমারী স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় গুদামজাত করছেন ব্যবসায়ীরা। যানবাহন না থাকায় বড় বিপাকে পড়েছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার খায়রুল বাশার জানান, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে যেতে না পারলেও ব্যবসায়ীরা আমদানি পণ্য গ্রহণ করছেন। রপ্তানি পণ্যে ট্রাকও বন্দর অতিক্রম করছে। তবে পরিবহন সংকটের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। তারা ছোট ছোট যানবাহনে পরিবহন করে আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নিচ্ছেন আবার কেউ ট্রেন যাতায়ত করছেন।
মেহেরপুর
পরিবহন ‘কর্মবিরতি’র কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে মেহেরপুর জেলার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের মানুষ। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ছোট-খাট শ্যালো ইঞ্জিনচালিত আলগামন, নসিমন, করিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারলেও মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-মুজিবনগর রোডে কোনে যানবাহনই চলাচল করছে না।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’র শুরু হওয়ায় জেলার কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও কৃষকরা পড়েছে দুশ্চিন্তায়। কারণ জেলা থেকে প্রতিদিনই কাঁচামরিচ, ফুল কপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, মূলা, সিম, করলা, শসা, বরবটিসহ বিপুল পরিমাণ সবজী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
খাগড়াছড়ি
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। তবে অভ্যন্তরীণ সড়কে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নাটোর
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ নাটোরের কোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো ধরনের বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। পণ্যবাহী যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। গন্তব্যের জন্য ছোট ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার গাড়িই হচ্ছে একমাত্র ভরসা। তবে কোনো কোনো স্থানে থ্রি-হুইলার গাড়িও চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
পঞ্চগড়
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি'তে বিপাকে পড়েছে পঞ্চগড় জেলার সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোটর পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন বন্ধ রেখেছে।
যশোর
যশোরের ১৮ রুটে পরিবহণ ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে হালকা যানবাহন চলাচল করলেও, দূরপাল্লার যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে যশোর শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড, শংকরপুর টার্মিনাল, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, পালবাড়ী মোড় ঘুরে দেখা যায়, যানবাহণশূন্য রাস্তায় লোকশূন্য। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরা ট্রেকার, থ্রি-হুইলার কিংবা ইজিবাইকে চলাচল করছে। তবে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে দূরপাল্লার লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার 'কর্মবিরতি'র প্রথম দিনে গোপালগঞ্জে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ আভ্যন্তরীণ ১৬ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে গোপালগঞ্জের সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, মাদারীপুরের, যশোর, বেনাপোল, চট্টগ্রাম, রংপুর, কুড়িগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিকল্প উপায়ে থ্রি-হুইলার, ভ্যান, নসিমন ও ইজিবাইকে করে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এর জন্য গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।
টাঙ্গাইল
পরিবহন শ্রমিকদের 'কর্মবিরতি'তে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সারাদেশের সঙ্গে বাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাস না চলায় যাত্রীদের ভোগান্তিকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনার চালকরা।
এদিকে মহাসড়কে বাস চলাচল না করায় যাত্রীরা ভিড় করছে রেলওয়ে স্টেশনে।